Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

এক নজরে

উপজেলার নামকরণের ইতিবৃত্তঃ

খাদ্যসশ্য উৎপাদনে দিনাজপুর জেলার সমৃদ্ধ উপজেলাগুলোর মধ্যে চিরিরবন্দর একটি অন্যতম উপজেলা। ১৯১৪ সালে চিরিরবন্দর থানা গঠিত হয়। বৃটিশ আমলে এ উপজেলাধীন চিরির নদীতে বড় বড় নৌকায় করে সওদাগররা তাদের ব্যবসার মালামাল আনানেয়া করত এবং ব্যবসা করত। ব্যবসার কারনে এখানে একটি বন্দর গড়ে উঠে। নদীর নামানুসারে এ বন্দরটির নাম হয় চিরিরবন্দর। কালক্রমে এ বন্দরের নামানুসারে এ মৌজাটি চিরিরবন্দর নামে পরিচিতি লাভ করে মর্মে জানা যায়। এরপর ১৯৮৩ সালে চিরিরবন্দর উপজেলায় পরিণত হয়। বাংলাদেশের উত্তর জনপদের দিনাজপুর জেলার আওতাধীন চিরিরবন্দর উপজেলা।ঐউপজেলার ইতিহাস আছে, ঐতিহ্য আছে আছে নিজস্ব স্বকিয়তা ও বৈশিষ্ট্য।

সমাজসেবা কার্যক্রম সূচনার প্রেক্ষাপটঃ

 

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জাতিগঠনমূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সমাজসেবা অধিদফতর অন্যতম। ১৯৫৫ সাল থেকেই সমাজসেবা অধিদফতর দেশের দুস্থ, অবহেলিত, পশ্চাৎপদ, দরিদ্র, এতিম, অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী এবং সমাজের অনগ্রসর মানুষের কল্যাণ ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে ব্যাপক ও বহুমুখী কর্মসূচি নিয়ে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী সুদৃঢ়করণের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সমাজসেবা অধিদফতরের এই সুবিশাল কর্মযজ্ঞের সুফল প্রান্তিক মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার অভিপ্রায়ে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়, চিরিরবন্দর, দিনাজপুর ১৯৮৪ সালে যাত্রা শুরু করে।

উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়, চিরিরবন্দর,দিনাজপুরের প্রদত্ত সেবাসমূহঃ

(১) সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কার্যক্রমের আওতায় বয়স্ক ভাতা, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতা, অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা, বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর বিশেষ বয়স্ক ভাতা, হিজড়া জনগোষ্ঠীর বিশেষ বয়স্ক ভাতা প্রদান।

(২) আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রমের আওতায় সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ।

(৩) হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যক্রমের সাহায্যে দুঃস্থ রোগীদের আর্থিক সহায়তা, ঔষধ ও পথ্য প্রদান।

(৪) স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থার নিবন্ধন প্রদান ও নিয়ন্ত্রণ।

(৫) জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদের মাধ্যমে ক্যান্সার, কিডনী, লিভার সিরোসিস, জন্মগত হৃদরোগ, স্ট্রোকজনিত প্যারালাইসড রোগীদের এককালীন অর্থ সহায়তা প্রদান।

(৬) প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শনাক্তপূর্বক প্রতিবন্ধী পরিচয়পত্র প্রদান।

(৭) প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান।

(৮) বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান।

(৯) প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রান্তিক মানুষকে প্রশিক্ষণ প্রদান শেষে এককালীন আর্থিক সহায়তা প্রদান।

(১০) আইনের সংস্পর্শে আসা/আইনের সংঘাতে জড়িত/সুবিধাবঞ্চিত শিশুর সর্বোত্তম সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে প্রবেশন কার্যক্রম জোরদারকরণ।

(১১) সকল ভাতাভোগীদের জাতীয় তথ্য ভান্ডারে অন্তর্ভুক্তকারণ।

(১২) মোবইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ভাতার অর্থ পরিশোধ।